মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে নিহতের কথিত প্রেমিকাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
নিহত ইসমাইল হোসেন ইমন (২৭) শিবচর উপজেলার চরকামার কান্দ গ্রামের সেকান্দার কাজীর ছেলে।
গ্রেপ্তররা হলেন, লাবনী আক্তার শিবচরের উত্তর চর তাজপুর গ্রামের আলমগীর চৌধুরীর মেয়ে এবং দত্তপাড়া ইউনিয়নের খারাকান্দি গ্রামের মনসুর ফরাজীর ছেলে মেহেদী ফরাজী (১৯)।
গত ১৫ মে সকালে শিবচর উপজেলার সন্নাসীরচর ইউনিয়নের খাসচর বাচামারা গ্রামের আড়িয়াল খার মরা নদের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, লাশটি ইমনের জানতে পেরে মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তে নামে। তারা জানতে পারে নিহতের সাথে লাবনীর এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে লাবনীর সাথে ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি ইমনের মোবাইল ফোনে ছিল। মাঝে মাঝেই ইমন এসব ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে লাবনীর সাথে ঘনিষ্টতা বাড়ায়। এ নিয়ে ইমনের সাথে লাবনীর সম্পর্কে অবনতি ঘটে বলেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আল মামুন বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ পুলিশের পাশাপাশি মাদারীপুর গোয়েন্দা বিভাগও ঘটনা তদন্ত করে ইমন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রেমিকা লাবনী আক্তার এবং সহযোগী মেহেদী ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা এ হত্যার করার কথা স্বীকার করেছেন।”
মামুন বলেন, “ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্কের জড়িয়ে আপত্তিকর ছবি নিয়ে বিরোধের জেরেই ইমনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেব।”
আড়িয়াল খা মরা নদের পাড়ে এ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ ইমনের হাতঘড়ি ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ।