সোমবার দুপুরে এ রোহিঙ্গারা টেকনাফের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় বলে কক্সবাজারস্থ ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তারা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-০১ ব্লকের ৭৮৫ নম্বর শেডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৮), সি-০২ ব্লকের ৫৩৯ নম্বর শেডের আহমেদ হোছনের ছেলে মোহাম্মদ হানিফ ওরফে জোবায়ের (২২) এবং এ-০৫ ব্লকের ১২১ নম্বর শেডের আবুল কালামের মেয়ে শফিকা আক্তার (১৮)।
এসপি তারিকুল বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে তিন রোহিঙ্গা পালিয়ে ২২ নম্বর উনচিপ্রাং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার খবর এপিবিএন। পরে বিষয়টি এপিবিএন সত্যতা নিশ্চিত হয়।
“এ রোহিঙ্গারা দালাল চক্রের মাধ্যমে সাগরপথে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসে। তারা সমুদ্রের কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছানোর পর সড়ক পথে টেকনাফের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের কাছে আশ্রয় নেন।
“ক্যাম্পটিতে তাদের পরিবারের সদস্যরা আগে থেকে অবস্থান করছিল।”
এপিবিএন এর অধিনায়ক জানান, এক বছর আগে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে কক্সবাজার উপকূলবর্তী সমুদ্রে নৌ-বাহিনীর কাছে ট্রলারসহ আটক হয় ৩০৬ জন রোহিঙ্গা। পরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নির্দেশে তাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে এসব রোহিঙ্গাদের পরিবারগুলো কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছিল।
এর আগেও ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।