সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে শহরের মোহাম্মদপাড়া এলাকার একটি বাসার বাথরুম থেকে পুলিশ তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাইফুল ইসলাম (৫০) এপিসি নামে একটি ওষুধ কোম্পানির খুলনা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক বলে পরিবার জানিয়েছে।
সাইফুল ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ গঙ্গাধরদী গ্রামের আব্দুল লতিফ মল্লিকের ছেলে। খুলনা শহরে কবিরের বটতলা এলাকায় স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে থাকতেন।
সাইফুলের স্ত্রী জানান, শারমিন নামে এক নারীর সঙ্গে সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়ান সাইফুল। বৃহস্পতিবার সাইফুল খুলনার বাসা থেকে বের হন। পরদিন বেলা ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে সাইফুলের সঙ্গে তার স্ত্রী শেষ কথা হয়। তার পর থেকে সাইফুলের ফোন বন্ধ ছিল। ফোন বন্ধ থাকায় শনিবার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেন তার স্ত্রী।
যে বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার মালিক মো. সাহিদুল ইসলাম শেখ।
সাহিদুল বলেন, সাইফুল ও এক নারী গত ৩ মে এই বাসা ভাড়া নেন। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েছিলেন। সাইফুল খুলনা থেকে গোপালগঞ্জে বদলি হয়েছেন বলে তারা জানিয়েছিলেন। তারা মাসিক পাঁচ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নেন। বৃহস্পতিবার তারা এই বাসায় ওঠেন।
“তারা আইডি কার্ড ও অগ্রিম ভাড়া পরে দিতে চেয়েছিলেন। ওই নারীর মুখে মাস্ক ও পরনে বোরকা ছিল। তার চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না। ওই দিন ওই নারী রান্নাবান্না করেন। পরদিন শুক্রবার দুপুরে তাদের বাসায় তালা দেওয়া দেখতে পাই।”
শুক্রবার দুপুরের আগেই সাইফুল খুন হতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা।
ওসি মনিরুল বলেন, “লাশের গলা কাটা রয়েছে। তিন দিন আগে সাইফুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধরাণা করছি। লাশে পচন ধরেছে। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন রকমের যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
“প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে পারকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। ওই নারী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি। গ্রেপ্তার করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মনিরুল।