এরা হলেন- নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের মো. আবুল কালাম (৫৫) ও তার পুত্রবধূ বিলকিছ বেগম (২২)।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া তাদের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ রির্পোট আসার কথা জানান।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তাদের সংস্পর্শে আসায় আবুল কালামের স্ত্রীকেও কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। তবে তার নাম জানায়নি প্রশাসন।
সিভিল সার্জন বলেন, আবুল কালাম ও বিলকিসকে জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আবুল কালাম তার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলে মো. সেলিমকে নিয়ে গত ১৪ মার্চ ভারতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য; সঙ্গে গিয়েছিলেন তার পুত্রবধূ। সেখানেই সেলিমের মৃত্যু হলে তার লাশ নিয়ে গত ২০ মে দেশে ফেরেন তারা। শুক্রবার নেত্রকোণায় লাশ দাফন হয়।
ভারত থেকে মরদেহ আসার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলছুম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, পুলিশ ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান। মৃত ব্যক্তির সর্বশেষ কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল বলে তার স্বজনরা তাদের জানান।
তবুও আগাম সতর্কতা হিসেবে ভারত ফেরত দুজন এবং তাদের সংস্পর্শে আসা একজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় প্রশাসন।
এদিকে সতর্কতা হিসেবে আবুল কালামের বাড়ির আশপাশের ছয়টি বাড়ি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান জানান।
তাছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্ত দুইজনের সংস্পর্শে আসাদের চিহ্ণিত করে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এলাকায় তদারকি করছেন।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন দ্রুত সংক্রামক বলে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ রয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে চলাচল বন্ধ করলেও আটকে থাকা বাংলাদেশিদের তিনটি সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকতে দিচ্ছে।