এই দুই জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানাচ্ছে, মজুদ না থাকায় টিকা নিতে আসা আগ্রহীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্য কয়েকটি জেলায় মজুদ তলানিতে ঠেকেছে বলে খবর এসেছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় জানান, মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে সিরাজগঞ্জ জেলায় টিকা প্রদান কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
তবে এ অবস্থার মধ্যেও টিকা গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেন সিভিল সার্জন।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই সুপার গোলজার হোসেন জানান, টিকাদান স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৮১ হাজার ৩৫৪ জন। তাদের মধ্যে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭২১ জন। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৩৩ জন।
গোলজার হোসেন বলেন, “টিকা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রগুলোতে প্রতিনিয়ত লোকজন ভিড় করছে। টিকা আসলে দেওয়া হবে জানিয়ে তাদের বিদায় করা হচ্ছে।”
তবে এ পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই ইপিআই সুপার।
অন্যদিকে, খাগড়াছড়িতে ১১ হাজারের বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা বাকি রেখেই গত ১৯ মে মজুদ শেষ হয়ে গেছে বলছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে টিকা পাওয়া গেলে বাকিরা দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবেন।
তিনি বলেন, “দুই মাসের কথা বলা হলেও এখন তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিলেও চলবে।”
এসএমএস পাওয়ার পরও কেন্দ্রে এসে কয়েকজন টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন বলেও জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র তথ্যে, এ জেলায় ৩০ হাজার ২৩২ জন মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলায় টিকার মজুদ শেষের দিকে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পঞ্চগড় জেলার সিভিল সার্জন ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, রোববার নাগাদ তার জেলায় টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাবে।
“টিকা না আসা পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার জনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি থাকবে।”
রংপুর জেলার সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় টিকার মজুদ তলানিতে পৌঁছানো তথ্য দিয়ে বলেন, “এরপর আর কবে টিকা আসবে তা এখনও জানতে পারিনি।”
ভারতে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সেদেশ থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় টিকার এ সংকট দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ পর্যন্ত দেশে যত মানুষকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মত মজুদ হাতে নেই। ঘাটতি প্রায় ১৫ লাখ ডোজের মত।
সেই ঘাটতি পূরণে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে, কিন্তু ‘নিশ্চয়তা মেলেনি’।
(জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য)