সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল

সম্ভাব্য একটি ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় প্রায় দেড়শ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2021, 07:50 PM
Updated : 22 May 2021, 05:59 PM

শুক্রবার বিকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় একথা জানানো হয়।

শু জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে জুমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

সভায় বক্তরা সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। দুর্যোগের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগ পরবর্তী করণীয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।

জেলা প্রশাসক এসএমএস মোস্তফা কামাল বলেন, “আশঙ্কা করা হচ্ছে একটি ঘূর্ণিঝড় সাতক্ষীরা খুলনা উপকূলে মে মাসের শেষ সপ্তাহে আঘাত হানতে পারে। সে ধরনের পূর্বাভাস দেখেই আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি সভা করেছি।এটি আমাদের আগাম প্রস্তুতি। আমরা প্রস্তুত আছি কিনা সেটি বোঝার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র আছে। এছাড়া ১৫০০ স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। দুই কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ সহায়তার জন্য রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওয়াটার ট্যাংক রয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত আছে।

জেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ  থেকে বরাবরের মত দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হবে বলে মনে করেন তিনি।

সভায়িআরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়াত, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, এনএসআই সাতক্ষীরার উপ পরিচালক জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের, পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা -২ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েচে, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও পাবনা জেলাসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং শনিবারও তা অব্যাহত থাকতে পারে।

উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলকায় একটি ঝড়ের জন্মের পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা আগের দিনই জানিয়েছিল আবাহওয়া অফিস।

শনিবারের মধ্যে সাগরের ওই এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং পরে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে ওেই ঘূর্ণিঝড়।

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর নাম দেওয়া হবে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী তখন এ ঘূর্ণিঝড়র নাম হবে ‘ইয়াস’ (yaas)