বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় সাকিব হোসেন (১৭) নামের ওই কিশোরের মৃত্যু হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
সাকিব হোসেন এই হাসপাতালে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান জানান।
ডা. মারুফ হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কলেজপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে সাকিব গত ১১ মে বেনাপোল সীমান্তপথে ভারত থেকে দেশে আসেন।
“এরপর তার করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি ক্যান্সরেও আক্রান্ত ছিলেন। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য তিনি ভারত গিয়েছিলেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।”
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন।
দর্শনা সীমান্তপেথে ভারতফেরত আরও ৬৬ জন
সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সীমান্ত অতিক্রম করে দর্শনায় ৬৬ জন দেশে পৌঁছেছেন। এরা সকলেই করোনা নেগেটিভ।
নিয়মানুয়ায়ী আগে আসা যাত্রীদের মতো এই ৬৬ জনকেও কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, ভারতে আটকা পড়া পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকদের গত সোমবার থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসা শুরু হয়েছে। এরপর প্রতিদিনই ভারতের গেদে সীমান্ত অতিক্রম করে দর্শনা সীমান্তে আসছেন তারা। সীমান্ত অতিক্রমের সময়ই তাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
“এরপর ইমিগ্রেশন, বিজিবি ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যাত্রীদের নির্দিষ্ট যানবাহনে করে চুয়াডাঙ্গা শহরের চারটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও কয়েকটি আবাসিক হোটেলে রাখা হচ্ছে।”
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যারা এসেছেন তাদের কেউ করোনা আক্রান্ত নন বলে তিনি জানান।
“তবে আগে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে সাত জন করোনা আক্রান্ত। তাদের সদর হাসপাতালের রেড জোনে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
বাকিরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নার্সিং ইন্সটিটিউট ও টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং শহরের কয়েকটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।
শুক্রবারের ৬৬ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৪০০ জন অনাপত্তি সনদ [এনওসি] নিয়ে ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গায় এসেছেন।