৩৩৩: ব্যবসায়ীর ‘কৌতূহল’ মিটল, চড়া মাশুলে

নারায়ণগঞ্জে জরুরি খাদ্যসহায়তার জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তরা; কিন্তু দেখা গেল, সহায়তা চাওয়া ওই ব্যক্তি একটি হোসিয়ারি কারখানার মালিক, সদর উপজেলার কাশিপুরে একটি চারতলা বাড়িও রয়েছে তার! 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2021, 08:22 AM
Updated : 21 May 2021, 10:07 AM

জরুরি সেবার নম্বরে ফোন করে সরকারের লোকজনকে এভাবে ‘হয়রানি’ করায় ফরিদ আহমেদ নামের ওই ব্যবসায়ীকে বৃহস্পতিবার শাস্তি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শাস্তি হল, ১০০ গরিব পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দিতে হবে এই ব্যবসায়ীকে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য প্যাকেটে থাকবে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি তেল, এক কেজি লবণ, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি আলু ও মশলা। 

সব মিলিয়ে দেড় হাজার কেজির বেশি খাদ্যসামগ্রী এখন গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে ফরিদ আহমেদকে। তার দাবি, তিনি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিলেন ‘কৌতুহল মেটাতে’।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহামারী আর লকডাউনে অনেক গরিব ও নিম্নআয়ের পরিবার কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও বিপাকে পড়েছে। ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাদের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন জরুরি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়।

“ফরিদ আহমেদের ফোন পেয়ে গতকাল বিকালে খাদ্যসহায়তা নিয়ে আমি নিজেই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ফরিদ আহমেদ চার তলা বাড়ির মালিক। জানতে পারি তার হোসিয়ারি কারখানা রয়েছে। ফরিদ তা স্বীকারও করেন।”

তাহলে ওই ব্যবসায়ী কেন জরুরি সেবার নম্বরে ফোন করে খাবার চাইলেন?

ইউএনও বলেন, “ফরিদের দাবি, সে এমনিতেই ফোন করেছে। ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। হয়রানির শাস্তি হিসেবে তাকে ১০০ গরিব মানুষকে খাদ্যসহায়তা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

আর ফরিদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৩৩৩ নম্বরের ওই হটলাইন থেকে সাড়া পাওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্য ফোন করেছিলাম।”

ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরিদ শুক্রবার একশ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবেন। ইউএনও আরিফা জহুরা বলেছেন, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিষয়টি তদারক করবেন।