বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে পাথর্শী ইউনিয়নের জারুলতলায় তিন জন, সাপধরি ইউনিয়নের কালির চরে একজন জন, পলবান্ধা ইউনিয়নের বাটিকামারীতে এক জন ও গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুরে এক জন নিহত হন।
পাথর্শী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইফতেখার হোসেন জানান, বিকালে জারুলতলায় বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে তিন শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন পশ্চিম গামারিয়ার জব্বার খানের ছেলে এনামুল হক (৩৫), হাসান শেখের ছেলে কালু শেখ (৪৫), কালাম শেখের ছেলে শাহজাহান (৩৮)।
বজ্রপাতে এই ইউনিয়নের বাহাদুরাবাদ গ্রামে তিনটি গরু মারা গেছে বলেও তিনি জানান।
সাপধরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, বিকালে বৃষ্টির মধ্যে কালির চরে বাদাম তোলার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন বিল্লাল হোসেন (৩৩) নামে এক কৃষক। বিল্লাল স্থানীয় প্রজাপতি চরের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান আনছারী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে কৃষিকাজ করার সময় চন্দনপুর গ্রামে মহিজল (৫০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। এ সময় তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৪০) আহত হয়েছেন।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম এ তাহের জানান, বজ্রপাতে আহতদের মাঝে বর্তমানে পাঁচ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।