বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদীসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ছয় জনের দপ্তর বদল করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বদলি করা এটা কোনো সমাধান নয়। ওদেরকে সাথে সাথেই বরখাস্ত করা উচিৎ ছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া দরকার ছিল এবং তাদেরকেই কারাগারে নেওয়া দরকার ছিল। এটা করলে তাও সাংবাদিকরা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবে।”
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে রোজিনা ইসলামকে সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
পরে রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
রোজিনা ইসলাম ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর তার সহকর্মীরা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে ‘হয়রানি’ করা হচ্ছে।
সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
পুলিশ রোজিনাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলেও মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত তা খারিজ করে দেয়। একই সঙ্গে তার জামিনের আবেদন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখা হয়।
বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে রোজিনাকে।
মির্জা ফখরুল দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা নিজেও দেখেছেন ভিডিওগুলো, যেটা বিশ্বাস করার মত নয়-একজন সাংবাদিককে, মিনিস্ট্রিতে একজন ভদ্র মহিলা একজন নারীকে হেনস্তা- এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।”
এ সময় ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস, জেলা আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল হালিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।