শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের উদনা ছড়ার এক সেতুর নিচ থেকে গত মঙ্গলবার এক নারী লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের সম্মিলন কক্ষে প্রেস বিফিং-এ এসপি মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মাসুদ মিয়া (৬২) শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগরের বাসিন্দা।
নিহত ডলি আক্তার আসামি মাসুদের চতুর্থ স্ত্রী। তিনি ঝিনাইদহ জেলায় বদনপুরের ফেলু মন্ডলের মেয়ে তিনি।
এসপি জাকারিয়া জানান, যে বস্তা ভরে লাশ ফেলে আসা হয়েছিল, সেই বস্তার সূত্র ধরে পুলিশ নিহতের স্বামী মাসুদ মিয়ার খোঁজে পায়। মাসুদ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, ‘নিহত ডলি আক্তার চতুর্থ স্ত্রী।’ কয়েক মাস আগে মসুদ মিয়া সঙ্গে ডলির বিয়ে হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানাতে পেরেছে গত রোববার ভোররাতে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে ডলিকে হত্যা করা হয়। সোমবার রাত ৯টার দিকে এক অটোরিকশায় করে নিয়ে গিয়ে উদনার পাড়ের উদনাছড়ায় ফেলে আসা হয় সেই লাশ।
মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল থানা ওসি আব্দুস ছালেক জানান, উদ্ধার হওয়া বস্তায় লেখা ছিল ‘অনিক শ্রীমঙ্গল’। শ্রীমঙ্গলের অনিককে খুঁজে বের করেন তারা। অনিক মিয়া বস্তার ক্রেতা মাসুদের সন্ধান দেন। পরে যে অটোরিকশায় করে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার চালক বেলাল মিয়াকে খুঁজে বের করে পুলিশ। মরা বাছুর ফেলে আসার কথা বলে মাসুদ অটোরিকশাটি ভাড়া করেছিল বলে বেলাল তাদের জানায় বলছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।