রোজিনাকে ‘হেনস্তা’: মন্ত্রী ও সচিবের পদত্যাগ দাবি ফখরুলের

সচিবালয়ে সাড়ে পাচঁ ঘণ্টা আটক রেখে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে ‘হেনস্তা’র ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2021, 01:30 PM
Updated : 19 May 2021, 07:12 AM

মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “রোজিনা ইসলাম ইতোমধ্যে দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেছেন তার অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য। সত্যটাকে বের করে নিয়ে আসা সাংবাদিকদের যে দায়িত্ব সেটা তিনি পালন করেছেন। তিনি জনগণের সামনে সত্যকে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে এই করোনার সময় করোনা সংক্রান্ত সরকারের যে দুর্নীতি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়র ও অধিদপ্তরের যে দুর্নীতি এগুলোকে তিনি জনসমক্ষে নিয়ে এসেছেন।”

এই কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ‘ন্যক্কারজনক’ ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। 

“রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের পর পুলিশে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনায় তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, মুক্তি ও একই সাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমরা অনেকদিন আগে থেকেই বলে আসছি এখানে মানুষের কোনো অধিকার নেই। না আছে সাধারণ নাগরিকের অধিকার, না রাজনীতিবিদদের অধিকার, না আছে সাংবাদিকদের কোনো অধিকার; এটাকে তারা গণতন্ত্র বলে।”

ফখরুল সংবাদকর্মীদের ‘এভাবে হেনস্থা’ নতুন নয় উল্লেখ করেন এবং অনেক ‘সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন’ বলেও মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, “আপনারা দেখেছেন ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের কী হয়েছে, আপনারা দেখেছেন কাজলের কী হয়েছে; এরকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এমপির সাহেবের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে সাংবাদিককে ধরে এনে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে; এমনকি খুনও করে দেওয়া হয়েছে।”

এই সময় তিনি ডিজিটাল আইনকে ‘মারাত্মক অস্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি তো ভেবেছিলাম কালকে রাত্রে থানা ঘেরাও থাকবে সমস্ত সাংবাদিকদের দিয়ে; কিন্তু সেখানে কী হয়েছে, বিভক্ত সৃষ্টি করা হয়েছে সাংবাদিকদের মধ্যে। সুপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ সমস্ত ক্ষেত্রে বিভক্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।”

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সদর থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকমীরা উপস্থিত ছিলেন।