মঙ্গলবার ভোর থেকেই এ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল সেতু মহাসড়ক দিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়েনি। মহাসড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি চট্রগ্রামের বাঁশখালীতে কাপড়ের ব্যবসা করেন। ঈদের ছুটিতে এলেঙ্গার ইছাপুর গ্রামে বাড়ি এসেছিলেন তিনি।
ফরিদ বলেন, “এবাই বাইত্তে আইতে খরচ হয় ৫’শ টেকা আর এইবার আইলাম আমার খরচ হইচে ১৬’শ টেকা। কিন্তু কি আর কারার, বউ পোলাপান আছে। বাইত্তে তো আহন নাগবো তাই আইছিলাম।”
এদিকে চালকদের দাবি, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে দীর্ঘদিন বেকার থাকায় বাধ্য হয়ে বাস নিয়ে মহাসড়কে বের হয়েছেন তারা।
সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আলিফ পরিবহনের চালক আব্দুল হাই বাবু বলেন, “ট্রাকে কইরা সোমানে মানুষ নিতাছে গাদাগাদি কইরা, তাগো করোনা নাই? বাসে তো আমরা গাদাগাদি কইরা যাত্রী নেই না। তাও খালি বাসের দুষ।”
সকরারি নিষেধ স্বত্ত্বেও দূরপাল্লার গাড়ি চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির বলেন, গত দুদিনে মহাসড়কে সরকারি আইন না মানার জন্য ত্রিশের অধিক গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শতাধিক দূরপাল্লার যানবাহনকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।