হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরদের একজনের বাবা বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় পাঁচ সালিশদার ও স্থানীয় এক চৌকিদারকে আসামি করা হয়েছে।
আটকরা হলেন চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্যাকিয়া গ্রামের শ্রীবাবু জলদাস (৭৫), নেপাল জলদাস (৬২), মোহনলাল জলদাস (৪০), রাসমোহন জলদাস (৪২) ও প্রিয়লাল জলদাস (৪৮)।
মামলার অপর আসামী চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার অমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, রোববার সকালে হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্যাকিয়া গ্রামের জেলে পাড়ায় জাল চুরির অভিযোগে সালিশ বৈঠকে পাঁচ কিশোরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে লাঠিপেটা ও জরিমানা করেন স্থানীয় চঞ্চায়েত সদস্যরা।
এই নির্যাতনের ঘটনার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এক মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা লাঠিপেটার ওই কিশোরদের চিৎকারে এক নারী এগিয়ে গেলে চৌকিদার আমির হোসেন তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন।