বুধবার ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তারের পর দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, এ ঘটনায় করা মামলার আসামি লাভলু সিকদার, নজরুল খান, কামরুল খান এবং জীবন বিশ্বাস।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গত ৬ মে এক হামলার শিকার সাংবাদিক সেকেন্দার আলম গত মঙ্গলবার রাতে বাদী সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
সেকেন্দার আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং সাপ্তাহিক ‘আমাদের আলফাডাঙ্গা’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। তার বাবা আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম শেখ।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মামলার পরপরই এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান, গোপালপুর গ্রামের আ. রউফ সিকদারের ছেলে লাভলু সিকদার, বাহাদুর খানের ছেলে আরব আলী খান (পিরু), আমজাদ খানের ছেলে নুর জালাল খান, মো. মোক্তার খানের ছেলে নজরুল খান, রহমান ঠাকুরের ছেলে কামরুল খান এবং বাকাইল গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে জীবন বিশ্বাস।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সেকেন্দার আলম ইরি মৌসুমে ধান মাড়াই করার জন্য একটি পরিত্যক্ত জায়গায় মালিকদের সাথে আলোচনা করে চাতাল তৈরি করেন। কিন্তু স্থানীয় বিরোধের কারণে তাকে আরব আলী খান চাতালে ধান মাড়াই করতে বাধা এবং বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দেন।
গত ৬ মে রাত ৮টার দিকে সেকেন্দার আলম মোটরসাইকেল যোগে ইফতার শেষে পবনবেগ কবরস্থান নতুন মসজিদের কাছে তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা তার ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি মাথার অপারেশন শেষে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।
এ মামলার আসামি আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান দাবি করেন, ঘটনায় জড়িতদের আসামি না করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে তাকেসহ অন্যদের আসামি করা হয়েছে।