এ ঘটনায় ২৭ বছর বয়সী ওই যুবকের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বরপা এলাকার বাড়ি অবরুদ্ধ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূরজাহান আর খাতুন বলেন, গত ৪ বছর ধরে ওই ব্যক্তি ভারতের চেন্নাইয়ে কাজ করে আসছিলেন। সম্প্রতি সেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তিনি ভয়ে সীমান্ত পার হয়ে ৯ মে দেশে ফেরেন।
প্রথমে তিনি বিমানে আখাউড়া পর্যন্ত আসেন।সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে বর্ডার ক্রস করেন। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে ১০ মে থেকে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়।
ওইদিনই তার নমুনা গ্রহণ করা হলে ১১ মে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। পরে সকালেই উপজেলা প্রশাসন ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই যুবকের বাড়ি অবরুদ্ধ করে দেয় এবং ওই তার পরিবারের সবার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।”
নূরজাহান বলেন, ভারত ফেরত ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে । তার বাড়ির অন্য সদস্যদেরও বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে যে কোন সময় তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা করোনার ফোকাল পারসন ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তার দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থাকতে পারে। বিষয়টি আইইডিসিআরকে অবহিত করা হয়েছে।