করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ করে রাখায় পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ পার হওয়ার একমাত্র ভরসা ফেরি। ফেরিও দিনে বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও জনস্রোতের চাপে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বিআইডব্লিউটিসির ভাষ্য।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রবল চাপ বেড়েছে। অবস্থা এমন যে, স্বস্থ্যবিধি তো দূরের কথা, নিয়ম-কানুনই কেউ মানতে চাচ্ছে না।”
দূরপাল্লার বাস বন্ধ করার পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করে কয়েক ধাপে চেকপোস্ট বসিয়েও লোকজনকে আটকে রাখা যায়নি। ট্রাকে-পিকাপে ঠাসাঠাসি করে বাঁধভাঙা স্রোতের মত শিমুলিয়ায় আসছে মানুষ।
চেকপোস্টে নামিয়ে দেওয়ার পর হেঁটে এবং খানিক এগিয়ে অন্য ছোট গাড়িতে আসছে তারা।
আর ঘাটে আসার পর শুরু হচ্ছে ফেরিত ওঠার প্রতিযোগিতা। কার আগে কে উঠবে। প্রাণপণ চেষ্টা করছে সবাই।
জেলার ডিসি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “ঢল থামানো যাচ্ছে না। সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা চলছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, সাড়ে চারশ স্পিডবোট ও দুই শতাধিক ট্রলার চলাচল করত। সব বন্ধ রেখে এখন শুধু ১৫টি ফেরি চালানো হচ্ছে।”