শিমুলিয়ায় রশি বেয়ে ফেরি ধরার চেষ্টা

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের এখন স্বপ্ন-দুশ্চিন্তা শুধুই ফেরিতে ওঠা। ভিড়ের চাপে হাঁটতে না পারায় কাউকে কাউকে দেখা গেছে রশি বেয়ে ফেরি ধরার চেষ্টা করতে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2021, 05:53 AM
Updated : 12 May 2021, 06:31 AM

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ করে রাখায় পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ পার হওয়ার একমাত্র ভরসা ফেরি। ফেরিও দিনে বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও জনস্রোতের চাপে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বিআইডব্লিউটিসির ভাষ্য।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রবল চাপ বেড়েছে। অবস্থা এমন যে, স্বস্থ্যবিধি তো দূরের কথা, নিয়ম-কানুনই কেউ মানতে চাচ্ছে না।”

দূরপাল্লার বাস বন্ধ করার পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করে কয়েক ধাপে চেকপোস্ট বসিয়েও লোকজনকে আটকে রাখা যায়নি। ট্রাকে-পিকাপে ঠাসাঠাসি করে বাঁধভাঙা স্রোতের মত শিমুলিয়ায় আসছে মানুষ।

চেকপোস্টে নামিয়ে দেওয়ার পর হেঁটে এবং খানিক এগিয়ে অন্য ছোট গাড়িতে আসছে তারা।

আর ঘাটে আসার পর শুরু হচ্ছে ফেরিত ওঠার প্রতিযোগিতা।  কার আগে কে উঠবে। প্রাণপণ চেষ্টা করছে সবাই। 

সফিকুল ইসলাম বলেন, “জনস্রোতের কারণে ফেরিতে যান পারাপারই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। লোকজনে ভরে যাচ্ছে পুরো ফেরি। ফেরি ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ । ফেরি ছেড়ে দিলেও ঝুঁকি নিয়ে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে সবাই।”

 জেলার ডিসি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “ঢল থামানো যাচ্ছে না। সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা চলছে।

 শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, সাড়ে চারশ স্পিডবোট ও দুই শতাধিক ট্রলার চলাচল করত। সব বন্ধ রেখে এখন শুধু ১৫টি ফেরি চালানো হচ্ছে।”