কক্সবাজারে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রচার দলের ঘর উচ্ছেদ

কক্সবাজার শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রচার দলের জন্য নির্মিত একটি ঘর উচ্ছেদ করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2021, 04:49 PM
Updated : 11 May 2021, 04:49 PM

মঙ্গলবার বিকালে জেলা শহরের লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে 'করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিম' এর এই ঘরটি উচ্ছেদ করা হয়। 

অনুমতি ছাড়া এই ঘর নির্মাণ করায় তা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ জানান।

কক্সবাজার সদর উপজেলা করোনা সচেতনতা প্রচার উপ-কমিটির আহবায়ক ও সদরের ইউএনও সুরাইয়া আক্তার সুইটি বলেন, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউকালে কক্সবাজার জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে পৌরসভায় ১২টি ওয়ার্ডে একটি করে ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রচারনা ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিম’ গঠন করা হয়। এই টিম গঠনের পর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কক্সবাজার শহরের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে প্রশংসিতও হয়েছে। 

"এই টিম করোনা রোগী শনাক্ত, চিকিৎসা, আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন এবং তাদের আবাসস্থল লকডাউন নিশ্চিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। এতে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কক্সবাজার প্রকোপের ব্যাপকতা থেকে রক্ষা পেয়েছে।"

ইউএনও বলেন, কাজের সমন্বয় ও সুবিধার্থে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে একটি করে অস্থায়ী প্রচার বুথ (অফিস) স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ স্থাপিত হয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সৌন্দর্য্যবর্ধন স্থাপনা 'লালদীঘির' দক্ষিণ পাড়ে।

জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে করোনা সচেতনতামূলক প্রচার ও কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে কাজ করতে শহরের ১২টি ওয়ার্ড অস্থায়ী বুথ করা হয়েছে; লালদীঘির পাড়ে উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে বাঁশ আর ছন দিয়ে এই বুথটি নির্মাণ করা হয় বলে এই ইউএনও জানান।

তিনি বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই বুথটি বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার শহরের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিমের প্রধান সমন্বয়ক মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে করোনা প্রতিরোধে তারা সেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করে আসছেন। মানবিক এই কাজ করতে গিয়ে আজকে তাদের প্রচারনার একটি বুথটি কউক ভেঙে ফেলেছে। 

এই সময় কউকের অভিযানকারী দলের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবী দলটির কয়েকজন সদস্যকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

উচ্ছেদকালে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ লালদীঘির সৌন্দর্য্য বর্ধনের প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। প্রকল্পটি এখনও চূড়ান্তভাবে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

"এরই মধ্যে হঠাৎ রাতের আঁধারে লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে রাস্তার উপরে একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। এটি কে করেছে বা কারা করেছে তা কউককে অবহিত করা হয়নি। কউকের  অনুমতিও নেওয়া হয়নি।"

এই কারণেই অবৈধ দখল প্রতিরোধে লালদীঘির পাড়ে গড়ে ওঠা স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে বলেন কউক চেয়ারম্যান।

এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।