জেলার মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলার ওপর দিয়ে সোমবার গভীর রাতে এ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুল ওয়াদুদ জানান, ঝড়ে মান্দা উপজেলার ১৩৮ হেক্টর পাট, ৩০ হেক্টর তিল, নিয়াতপুরে ১১০ হেক্টর বোরো ধান এবং মহাদেবপুর উপজেলায় ১০ হেক্টর বোরো ধান, ৫ হেক্টর পাট ও ৫ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সোমবার রাত ১টার পর থেকে শুরু হয় কালবৈশাখী মেঘের গর্জন; এরপর শুরু হয় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে করে জেলার মান্দা, মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের ফসলের ক্ষতি হয়।
মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েচে। ঝড়ে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। আর রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারিরা।
মান্দার মৈনম ইউনিয়নের বৌদ্ধপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ তাইজুল ইসলাম বলেন, “রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড বেগে ঝড় আসে। ঝড়ে আমার দুইটি আধাপাকা ইটের ঘরের টিনের চালা উড়ে নিয়ে যায়। এরপর ঝড়-বৃষ্টিতে সবকিছু ভিজে যায়। রাত থেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি।”
ঝড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তাইজুল।
মান্দার নলকুড়ি গ্রামের কৃষক আফসার আলী জানালেন, ঝড়ে তার দেড় বিঘা জমির পাকা ধান একেবারে জমিতে ঝড়ে পড়েছে।
মৈনম ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী রাজা বলেন, কালবৈশাখীর ছোবলে তার ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, ধান, আমসহ মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে একটু দেরি হচ্ছে। তাদের মাঝে টিন ও টাকা সহায়তা প্রদান করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা সামছুল বলেন, প্রাথমিকভাবে একটা রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পেতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।