সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর বাড়ি সৈয়দপুর শহরে পুরাতন বাবুপাড়া মহল্লায়।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলেমুর বাশার জানান, তারা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বহন করছেন কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ব্যাপারটি জানান জন্য ১৯ মে আইডিসিআর-এ তাদের নমুনা পাঠানো হবে।
আলেমুর বাশার জানান, গত ২৭ মার্চ চিকিৎসার জন্য বাবাকে নিয়ে ভারত যান ৩০ বছর বয়সী এই আইনজীবী। চিকিৎসা শেষে গত ২৩ এপ্রিল বাবাকে নিয়ে ঢাকায় ফেরেন তিনি।
“ওই সময় ইমিগ্রেশনে আইনজীবী ও তার বাবার নমুনা পরীক্ষা করা হলে দুজনেরই করোনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু ঢাকায় অবস্থানকালে এই আইনজীবীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। ২৭ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করালে তার করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে।”
তিনি বলেন, পরে পরীক্ষায় আইনজীবীর স্ত্রী (২৮) ও শিশুপুত্রের (৬) শরীরেও করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
তবে ওই আইনজীবীর আড়াই বছরের আরেক ছেলের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
আলেমুর বাশার জানান, সোমবার রাতে ঢাকা থেকে একটি প্রাইভেট কারযোগে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সৈয়দপুরের বাড়ি আসেন এই আইনজীবী।
“বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আইনজীবীর বাড়ি লকডাউন করে পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।”