বৃষ্টিতে ভিজে, ফেরির কোনায় দাঁড়িয়ে পদ্মা পাড়ি

বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে, ফেরির কোনায় দাঁড়িয়ে পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ পাড়ি দিচ্ছে ঈদে ঘরমুখী মানুষ।

ফারহানামির্জা, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2021, 06:21 AM
Updated : 11 May 2021, 06:47 AM

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ করে রাখায় পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ পার হওয়ার একমাত্র ভরসা ফেরি। ফেরিও দিনে বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও জনস্রোতের চাপে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বিআইডব্লিউটিসির ভাষ্য।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঈদ এগিয়ে আসায় চাপ আরও বেড়েছে। দিনে জরুরি পরিসেবার পাশাপাশি পরিস্থিতির কারণে লোকজনও পার করা হচ্ছে। ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি চলাচল করছে এখন।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল যেন থামছে না। সব বাঁধা উপেক্ষা করে মানুষ  আসছে। বাঁধভাঙা স্রোতের মত লোকজন ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করছে। ফেরি ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। ফেরি ছেড়ে দিলেও ঝুঁকি নিয়ে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে সবাই।
কয়েক দিন ধরে এমন চাপ থাকলেও মঙ্গলবার সেই চাপ আরও বেড়েছে।
সকালে বৃষ্টিতে খোলা ফেরিতে কাকভেজা হয়েই হাজার হাজার মানুষকে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। এখানে ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেই ছুটছে মানুষ।
বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টের বাধাও কাজে আসছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝঁকি নিয়েই লোকজন ছুটছে। রাতেও ছিল একই অবস্থা। রাত ৩টা পর্যন্ত ফেরিতে লোকজনের কারণে গাড়ি উঠতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের ডিসি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “মানুষের ঢল থামানো যাচ্ছে না। তবে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা চলছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও প্রয় সাড়ে চারশ স্পিডবোট ও দুই শতাধিক ট্রলার চলাচল করত। সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু ১৫টি ফেরি চলছে।