‘অবৈধভাবে’ মহেশপুর সীমান্ত পার, ২৭ আটক

ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে ঝিনাইদহের সীমান্ত দিয়ে ‘অবৈধভাবে’ বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ২৭ জন আটক হয়েছেন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2021, 02:23 PM
Updated : 10 May 2021, 02:23 PM

সোমবার ভোররাতে মহেশপুর উপজেলার মাটিলা ও সামন্তা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে বিজিবির খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়ন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল আহসান জানান।

আটকরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করছেন।

এই মানুষ পারাপারের দালাল সন্দেহেও এক ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে বিজিবি জানিয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল আহসান জানান, বিজিবির টহল দল অভিযান চালিয়ে মাটিলা সীমান্ত থেকে ১৯ জনকে আটক করে।  এরপর সামন্তা বিওপির একটি টহল দল বাঁশবাড়িয়া গ্রাম থেকে আরও ৮ জনকে আটক করে।

মাটিলা সীমান্ত থেকে আটকদের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ি নাটোর এবং বাকি দুজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও বরিশাল জেলায় বলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। 

বাঁশবাড়িয়া গ্রাম থেকে আটকদের মধ্যে চার জন নারী ও চার জন পুরুষ রয়েছেন। তারা তাদের বাড়ি খুলনা, বাহেরহাট, ফরিদপুর, যশোর ও নরসিংদী জেলায় বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া মো. সাদ্দাম নামে আরেকজনকে আটক করা হয়েছে, যাকে মানুষ পাচারকারী দালাল বলছে বিজিবি। সাদ্দাম মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়িয়া গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।

আটকদের বিরুদ্ধে বিজিবি পাসপোর্ট আইনে মামলা দিয়ে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।  

মহেশপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ১৭ জন বলেন তারা বেদে সম্প্রদায়ের। নাটোর থেকে তারা ভারতের নদীয়া জেলায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে তারা সাপ খেলা দেখাতেন।

“সেখানে করোনা মহামারী শুরু হলে তারা পালিয়ে আসছিল। আটক অন্যরা জানায় তারা সেখানে কাজ করত।”

সীমান্তবর্তী কাজীরবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজা বলেন, “অবৈধভাবে ভারত থেকে মানুষ আসায় এই এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।”

ঝিনাইদহ আদালতের জিআরও এসআই মামুনর রশিদ জানান, “জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেঘা গুপ্তা তাদের জামিন মঞ্জুর করে ১৪ দিন প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার আদেশ দেন।”

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. মজিবার রহমান জানান, তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।