রোববার সন্ধ্যায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে তারা দেশে আসেন। রাতেই তাদের মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। এরা সবাই মাগুরার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
এই নিয়ে গত দুই দিনে ভারত থেকে আসা ৯৯ বাংলাদেশিকে মাগুরা শহরের তিনটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হলো। এছাড়া আরও দুই জনকে সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ৫১ বাংলাদেশি ভারতীয় ইমিগ্রেশন পার হয়ে বেনাপোল আসেন। তারা সবাই মাগুরার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
“রাতেই বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ একটি বাসে করে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশাসনের মাধ্যমে মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে।”
স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই ৫১ জনকে শহরের ভায়না এলাকায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল মন্ডল ইন্টারন্যাশনাল ও ঢাকা রোডে ঈগল হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
এর আগে শনিবার রাতে আসা ৫০ জনকে মাগুরা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে দেয় বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে ২০ জনকে শহরের ঢাকা রোড এলাকায় সৈকত হোটেলে ও ২৮ জনকে পার্শ্ববর্তী ঈগল হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অপর দুজনের শরীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের মাগুরা হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিসের জ্যেষ্ঠ স্বাস্ব্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, প্রত্যেককে তাদের নিজ খরচে হোটেলে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নিতান্তই যারা অপারগ হবেন জেলা প্রশাসন তাদের থাকা খাওয়ার ব্যয় বহন করবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বলে তিনি জানান।
তারা যাতে ১৪ দিনের আগে হোটেলের বাইরে বের হতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা বসানো হয়েছে।