ফেনীর সীমান্তে শ্রমিকের লাশ, গ্রেপ্তার ২

পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের রাঙামাটিয়া গ্রাম থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানিয়েছেন।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2021, 12:14 PM
Updated : 10 May 2021, 12:14 PM

ইয়াছিনের ‘হত্যায়’ জড়িত অভিযোগে নির্মাণ শ্রমিক মো. সেলিম (৩৩) ও অটোরিকশা চালক জামালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মৃত মো. ইয়াছিন (৩০) মির্জানগর ইউনিয়নের মধ্যম রাঙামাটিয়া গ্রামের হাসান আহমেদের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, গত ১৩ এপ্রিল ইয়াসিন নিখোঁজ হলে পরশুরাম থানায় সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড়ো ভাই হারুন।

“তদন্তের এক পর্যায়ে গত শনিবার [৮ মে] ইয়াসিনের সহকর্মী মো. সেলিম ও অটোরিকশা চালক আবুল কালামকে মধ্যম রাঙামাটিয়া এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।”

সেলিমকে জিঙ্গাসাবাদের বরাত দিয়ে এসপি জানান, ইয়াসিনের কাছে একটি কষ্টিপাথর ছিল। ওই কষ্টিপাথর ও রাজ মিস্ত্রির কাজের কর্তৃত্ব নিয়ে ইয়াসিনের সঙ্গে সেলিমের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে সেলিম ইয়াছিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

এসপি বলেন, গত ১৩ এপ্রিল বিকাল এক মহিলাকে দিয়ে ইয়াসিনকে কৌশলে পরশুরাম থেকে ফেনী শহরের বনানীপাড়ায় একটি বাসায় ডেকে আনেন সেলিম। সেখানে ৫/৬ জন মিলে ইয়াসিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে ভারত সীমান্ত পিলার নম্বর ২১৫-১২-এস এর ৫০ গজ অভ্যন্তরে রাঙামাটিয়া গ্রামে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে একটি খাদে মাটি চাপা দেন।

“সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে রোববার জেলা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি, বিজিবি, গোয়েন্দা পুলিশ, পরশুরাম থানা পুলিশ ওই স্থান থেকে ইয়াসিনের বস্তাবন্দি গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।”

মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, লাশ উদ্ধারের পর ইয়াসিনের ভাই হারুন বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে রোববার রাতে পরশুরাম মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় সেলিম ছাড়াও এমাম হোসেন, মোশাররফ হোসেন, কুসুম, শাহনাজ ও সিএনজি চালক জামালকে আসামি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আতোয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) খালেদ হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এন এম নূরুজ্জামান, পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. শওকত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।