সোমবার দুপুরে টঙ্গীর মিল গেইট এলাকায় এ ঘটনায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের (জোন-২) অতিরিক্ত সুপার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, “সরকার তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করলেও টঙ্গীর মিল গেইট এলাকায় হা-মীম গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা ১০ দিন ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ করে। দুপুরের দিকে তারা কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।
“পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়ে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”
এ সময় প্রায় ২০ মিনিট ওই মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয় জানিয়ে শিল্প পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে আবার যান চলাচল শুরু হয়।
“একপর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভে হামলা চালায়, রাবার বুলেট মারে। আমাদের কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছে।”
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. পারভেজ হোসাইন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় রাবার বুলেটে আহত ২০ শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের ১১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া রুবেল নামে পুলিশের একজন এএসআইকে আহত অবস্থায় আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ডা. পারভেজ।
এদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকার স্টার লিংক ডিজাইন নামে আরেকটি কারখানার শ্রমিকরা ঈদে ১২ দিন ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের ছুটির ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা ফিরে যায় বলে জানান গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. কমর উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, দুই কারখানা এলাকাতেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।