এতে রোগী ও স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের চিকিৎসক জিল্লুর রহমান বলেন, ২০০২ সালের ৫ মার্চ ‘ব্লাড সেল সেপারেটর’ যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়। যন্ত্রটি দিয়ে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হত। কয়েকবার যন্ত্রটি নষ্ট হলে মেরামত করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে গেলে আর ঠিক করা যায়নি।
“ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় এই যন্ত্র দিয়ে অসংখ্য রোগীর শরীরে প্লাটিলেট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া থ্যালাসেমিয়াসহ অন্য রোগীরা তো সেবা নিতেনই।”
তিনি বলেন, যন্ত্রটি মেরামতের জন্য পাঁচ দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে চিঠি দেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত নতুন একটি যন্ত্র দিতে চেয়েছে।
মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক এস এম কামাল বলেন, “যন্ত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা, ডেঙ্গুসহ কিছু রোগীকে শুধু প্লাটিলেট দিতে হয়। ‘হোল ব্লাড’ দিলে অসুবিধা হয়।”
তিনি বলেন, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রক্তের উপাদান আলাদা করার যন্ত্র আছে। উপায় না থাকলে সেখানে রোগীদের পাঠানো হয়। তবে সেটাও মাঝেমধ্যেই নষ্ট থাকে।
যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে প্রয়োজন মেটাতে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে।
আফরোজা নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, “বেসরকারি হাসপাতালর যন্ত্রটিও মাঝেমধ্যে নষ্ট থাকায় তাদের খুলনার বাইরে যেতে হচ্ছে। এতে অর্থ যেমন খরচ হচ্ছে তেমনি যাতায়াতের ঝামেলা তো আছেই।”