স্থানীয়রা জানান, করোনাভাইরাসের প্রথম ধাপ থেকেই তিনি দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে আবার তিনি নেমে পড়েছেন মানুষের সহায়তায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়াসহ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কখনও ভ্যানে, কখনওবা হেঁটে গ্রামের পথে ব্যাগ নিয়ে ছুটতে দেখা যায় তাকে।
ফৌজিয় বীথির প্রতিবেশী হায়দার আলী বলেন, “বিপদে প্রতিবেশীরা সব সময়ই বীথিকে পাশে পেয়েছে। একজন মেয়ে হিসেবে বীথি যা করেন আমরা তা পারিনি। একজন মানবিক এবং প্রতিবাদী মেয়ে তিনি।”
‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নুতন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরিতে ২০২০ সালে তিনি জয়িতার সম্মাননা লাভ করেছেন।
ধুনট উপজেলার বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফৌজিয়া বীথি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুরস্কার কিংবা বাহবা পাওয়ার জন্য একাজ করি না; করি মনের টানে। কারো কোনো সমস্যার কথা শুনলে ঘরে বসে থাকতে পারি না। করোনাকালে স্কুল বন্ধ, সরকার বেতন দিচ্ছে। বেতনের টাকায় এসব করছি। আমার সংসার তো চলছে। বেতনের টাকা না হয় এই মহা দুর্যোগে অসহায় মানুষকে বিলিয়ে দিলাম।”