বাগেরহাটে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ

বাগেরহাট শহরে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2021, 06:38 AM
Updated : 9 May 2021, 09:11 AM

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, আব্দুল্লাহ আল নাইম (২৪) নামের ওই ব্যক্তি শনিবার বিকালে থানায় এসে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান।

নাইম শহরের দশানী এলাকার গোলাম মোহম্মদের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন।তার স্ত্রী হলেন সোমা আক্তার (২০)।

সোমা বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে এবং জেলা সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজী বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

নিহতের পরিবারের বরাতে ওসি বলেন, ২০১৯ সালে প্রেম করে নাইম ও সোমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাইম চাকরির জন্য ঢাকায় চলে যান। সম্প্রতি সোমা টিকটকে নানা রকম ভিডিও বানিয়ে আয় করছিলেন। এক পর্য়ায়ে বিষয়টি নাইমের নরে এলে তিনি সোমাকে ভিডিও বানাতে নিষেধ করেন। কিন্তু সোমা এ কাজ করে যাচ্ছিলেন।

“শনিবার বিকালে নাইম ঢাকা থেকে ফিরে মোবাইলে ফোন করে সোমাকে বাড়ি আসতে বলেন। পরে সোমা বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যান।রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিকটকে ভিডিও তৈরি করা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে নাইম সোমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে আহত করে। পরে তার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।”

পরে পুলিশ গিয়ে সোমবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে জানান ওসি।

নিহতের বড় বোন নাজমা আক্তার বলেন, “সোমা আমাদের বাড়িতে থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি টিকটকে ভিডিও তৈরি করে আয় করছিল। এই আয় দিয়ে সোমার ভালই চলছিল। ঢাকায় যাওয়ার পর নাইম মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সে নেশা করতে প্রায়ই সোমার কাছে টাকা চাইত। শনিবার ঢাকা থেকে ফিরে সোমাকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা আটকে শারীরিক নির্যাতনের পর নাইম তাকে হত্যা করে।“

ওসি জানান, রোববার ময়নাতদন্ত শেষে সোমার লাশ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। রোববার নাইমকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।