শনিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার খবর আসে বলে জানিয়েছেন ভালুকা হাইওয়ে থানার ওসি মশিউর রহমান।
এই বরখাস্তদের মধ্যে পুলিশের একজন এটিএসআই পদমর্যাদার এবং দুইজন কনস্টবল রয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওসি মশিউর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ফুটওভার ব্রিজের পাশে ইউটার্নে অটোরিকশাচালক শামীমের কাছ থেকে সাতশ’ টাকা চাঁদা নেয় ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
পরের মধ্যরাতে ওই অটোরিকশাচালক ভালুকার সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সেখানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তার ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শামীম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে চিনতেন না। ফলে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে তিনি জানতে চান ‘কোথাও যাবেন কিনা’।
এ সময় চেয়ারম্যান অটোরিকশাচালক শামীমের চেহারা মলিন দেখে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। সে সময় শামীম আগের রাতে তার কাছ থেকে পুলিশে টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানান তাকে।
রাত আড়াইটার দিকে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে শামীমের ছবিসহ চাঁদা আদায়ের ঘটনাটি তুলে ধরেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আসে বলেন ওসি।