নেত্রকোণায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ ‘ঘাটতি ১৮ হাজার’

নেত্রকোণায় করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজের ‘প্রায় ১৮ হাজার ঘাটতি’ রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2021, 02:37 PM
Updated : 5 May 2021, 02:37 PM

জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া একথা জানিয়ে বলেন, “তবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা সবাই পাবেন।”

ডা. সেলিম মিয়া বলেন, জেলায় মোট ৫৮ হাজার ১৮৮ জনকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর তাদের মধ্যে মঙ্গলবার নাগাদ ২৮ হাজার ৮৮৩ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

“জেলায় এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার বাকি রয়েছেন ২৯ হাজার ৩০৫ জন। তার বিপরীতে জেলায় এখন মজুদ আছে ১১ হাজার ৩৫০টি। এই হিসাবে আরও ১৭ হাজার ৯৫৫টি দ্বিতীয় ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে।”

দ্বিতীয় ডোজ সবাইকে কীভাবে দেওয়া হবে প্রশ্নে সিভিল সার্জন বলেন, “আশা করছি কোনো না কোনো সোর্স থেকে টিকা পেয়ে যাব। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারব।”

এই নিয়ে প্রথম ডোজ নেওয়াদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

নেত্রকোণায় সারা দেশের মতো গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়। জেলা সদরসহ জেলার বাকি নয়টি উপজেলাতেও টিকাদান চলে।

মজুদ কমে আসায় এবং সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটায় গত ২৬ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর তাদের মধ্যে ২১ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৬ জন দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন।

ওইদিন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৭৯ লাখ ৫৪ হাজার ১৭৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। সে হিসাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে টিকা ছিল ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৪ ডোজ।

২৫ এপ্রিল অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, যে টিকা মজুদ আছে তা দিয়ে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চালানো যাবে। এর মধ্যে নতুন চালান না এলে টিকাদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

সব মিলিয়ে ২০ লাখ ডোজের মত ঘাটতি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।