বেনাপোল বন্দরে যুক্ত হলো সফটওয়্যার ‘বিকম’

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল ও রাজস্ব ফাঁকি রোধসহ যাবতীয় কাজে স্বচ্ছতা আনতে বেনাপোল বন্দরে একটি নতুন সফটওয়্যার চালু হয়েছে।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2021, 03:54 PM
Updated : 4 May 2021, 03:54 PM

মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।

এই সময় বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার নেয়ামুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেনাপোল কাস্টমস অফিসিয়াল ম্যানেজমেন্ট (বিকম) নামের এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সকল তথ্য অল্প সময়েই বন্দরের যেকোনো কর্মকর্তা একযোগে জানতে পারবেন।

উদ্বোধনের সময় আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, “এটি বেনাপোলে প্রথম চালু হলো। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য শুল্কভবনেও এই সফটওয়্যার চালু করা হবে।”

বেনাপোল শুল্কভবনের অতিরিক্ত কশিনার নেয়ামুল ইসলাম বলেন, আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করতে শূন্যরেখায় কাস্টম কার্গো শাখায় কাস্টমস, বন্দর ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করতেন। ফলে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে সময় লাগত ৩০ মিনিট। বর্তমানে 'বিকম' সফটওয়্যারের মাধ্যমে বারকোড ব্যবহার করায় সময় লাগছে মাত্র ৫ মিনিট। 

তিনি জানান, ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। বিকমের মাধ্যমে ভারতীয় এসব ট্রাকের অবস্থান এবং কোন শেডে পণ্য আনলোড হচ্ছে তা মুহূর্তেই জানা যাবে। আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের ঝুঁকি বিশ্লেষণ দ্রুত সম্ভব। দেশের যেকোনো স্থানে অবস্থান করেও আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ণয় করা যাবে।

এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে মুহূর্তেই বকেয়া রাজস্ব, ব্যাংক গ্যারান্টি, আন্ডারটেকিং ও সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্সের সকল তথ্য একযোগে যেকোনো অফিসার জানতে পারছেন, বলেন নেয়ামুল।

বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, অতিরিক্ত কশিনার নেয়ামুল ইসলামের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এই প্রথম কাস্টমস হাউসে বিকম সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমানে ১৫টি মডিউলের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল, শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ও প্রতিদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত মনিটরিং, চোরাচালান পণ্য আটকসহ কাস্টম ও বন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছেন কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনারসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।