মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের মোহনপুর থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় রমজান মিয়ার স্ত্রী জোসনা আক্তার।
পরে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে কে কখন ওই ড্রেনে ফেলে গেছে তা জানা যায়নি।
জোসনা আক্তার বলেন, “দুপুরে আমার বাড়ির পাশের এক পরিত্যক্ত ড্রেন থেকে কান্না শুনতে পাই। তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে ছেলে শিশুটিকে দেখি।”
তিনি বলেন, ওই সময় এলাকার ‘সর্দারসহ শতাধিক মানুষ’ সেখানে জড়ো হয়। তখন তিনি শিশুটিকে তুলে নেন। এরপর উপস্থিত লোকজন শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
জোসনা বলেন, “আমি শিশুটিকে মানুষ করতে চাই। সেজন্য সব নিয়ম কানুন মেনেই তাকে নিতে চাই।”
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে যদি তার কোনো স্বজন না পাওয়া যায় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের সেবিকা নাছিমা আক্তার জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।