নওগাঁ থেকে আত্মসাৎ চাল রংপুরে উদ্ধার, আটক ২

নওগাঁ থেকে মিথ্যা পরিচয়ে আত্মসাৎ করা বিপুল পরিমাণ চাল রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ; একই সময়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মহাদেবপুর উপজেলায় এসিআই ফুডস লিমিটেডের রাইস ইউনিট থেকে ট্রাক চালক ও সহকারীর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ১৩ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করা হয় গত ১৮ এপ্রিল।

মহাদেবপুর থানার ওসি মির্জা আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, সোমবার রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নাইম ট্রেডার্সের গুদাম থেকে এই চালের একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তাররা হলেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসরা গ্রামের বাদুল্লা মন্ডলের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন মন্ডল (৪৬) এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মেসার্স নাঈম ট্রেডার্সের ম্যানেজার মো. লেবু মিয়া (৪৮)।

ওসি মির্জা আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, গত ১৮ এপ্রিল ভাই ভাই ট্রান্সপোর্টের ট্রাক চালক ও ঢাকার আশুলিয়ার আইনুল শেখের ছেলে স্বপন শেখ পরিচয় দিয়ে মহাদেবপুরের এসিআই ফুডস লিমিটেডের রাইস ইউনিট থেকে ১৩ মেট্রিক টন [প্রতিটি ১ কেজি ওজনের মোট ১৩ হাজার প্যাকেট] সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারে আব্দুল্লাহ স্টোরে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান।

“কিন্তু সেখানে চাল না পৌঁছালে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি ট্রাকের খোঁজ খবর শুরু করে জানতে পারেন যে ওই ট্রাক চালকের পরিচয় মিথ্যা ছিল।”

ওসি বলেন, এই ঘটনায় ২১ এপ্রিল ভাই ভাই ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির পক্ষে শ্রী সুব্রত চক্রবর্তী এবং ২২ এপ্রিল এসিআই ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজার এম এ সাত্তার আরেকিট জিডি করেন মহাদেবপুর থানায়।

“এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের এক পর্যায়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশ সোমবার হেলাল মন্ডলকে বগুড়ার শেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার রাতে গঙ্গাচড়ায় নাইম ট্রেডার্সের ম্যানেজার লেবু মিয়াকে গ্রেপ্তার এবং নাইম ট্রেডার্সের গুদাম থেকে ১৩ হাজার প্যাকেট চালের মধ্যে ৯ হাজার প্যাকেট উদ্ধার করে।”

ওসি আজম আরও বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার এবং বাবি চাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে।