সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড: দ্বিতীয় দিনে গড়াল নেভানোর কাজ

সুন্দরবনের আগুন দ্বিতীয় দিনেও পুরোপুরি নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2021, 05:16 AM
Updated : 4 May 2021, 06:00 PM

মঙ্গলবার সকালেও কিছু এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস, বনবিভাগ ও স্থানীয়রা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে দাসের ভারানি টহল ফাঁড়ি এলাকার ২৪ নম্বার কম্পার্টমেন্টে আগুন লাগে।

আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বন বিভাগ। এ ঘটনায় বন বিভাগের তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল মঙ্গলবার সকালে কাজ শুরু করেছে।

তদন্ত দলের আহবায়ক শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদিন বলেন, আগুন নেভাতে দ্বিতীয় দিনের মত কাজ শুরু হয়েছে। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, বনবিভাগ ও স্থানীয় গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। সোমবার গভীর রাতে বৃষ্টি হওয়ায় উপকার হয়েছে।

“সোমবার সন্ধ্যায় বনের বিভিন্ন স্থানে ধোঁয়া ও আগুনের কুণ্ডলি দেখা গেলেও সকাল থেকে তা আর দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে।”

তিনি বলেন, আজও বনের এই এলাকায় আকাশে মেঘ রয়েছে। বৃষ্টি হলে আরও উপকার হবে। মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস মরা ভোলা নদী থেকে পানি তুলে আগুনের এলাকায় পানি ছিটাচ্ছে। গ্রামবাসী ও বনবিভাগের কর্মীরা ফায়ার লাইন কাটার কাজ করছে। সবাই যেভাবে কাজ করছে তাতে মঙ্গলবার আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, বনের আগুন লাগার কারণ ও আগুনে বনজ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর এলাকায় চার শতক বন পুড়ে যায়।

এক বনকর্মকর্তা নাম না জানিয়ে বলেন, যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে লতাগুল্মজাতীয় গাছপালা বেশি। এই এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল নেই বললেই চলে। গাছের পাতা পড়ে স্তূপ হয়ে রয়েছে। এ বছর রৌদ্রের তাপ অনেক। বৃষ্টি নেই। ফলে পাতা পড়ে ওই এলাকায় এক ধরনের মিথেন গ্যাস সৃষ্টি হয়। রৌদ্রের তাপে মিথেন গ্যাস থেকে আগুন জ্বলতে পারে।