সোমবার বিকেলে শহরের বাণিজ্যিক এলাকা বড়গোলায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন এ যুবক।
নিহত টমাস সরকার (৩৮) শহরের চকসুত্রাপুর নামাজগড় এলাকার হাফিজার রহমান সরকারের ছেলে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে পেরেছেন টমাস ‘মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন’।
নিহতের পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় শামীম সরকার জানান, ছয় বছর আগে তার বাবার মৃত্যুর পর থেকে সবার ছোট টমাস মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “টমাস এর আগেও একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।”
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওই এলাকার মহিদুর রহমান মুক্তা জানান, বড়গোলায় সাত তলা এক বাণিজ্যিক ভবনে প্লাস্টারের কাজ চলছে। সেজন্য ভবনের পেছনে নিচ থেকে সাত তলা পর্যন্ত বাঁশ লাগানো রয়েছে।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে হঠাৎ শুনতে পান, এক ব্যক্তি সেই বাঁশ বেয়ে ৫ তলায় উঠে গেছে। তখন ওই ভবনে থাকা কর্মীরা তাকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি উল্টো আত্মহত্যার হুমকি দেন। তখন ৯৯৯-এ খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ তলা থেকে লোকটিকে নিরাপদে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। তবে তাতে সাড়া মেলেনি।
উদ্ধার তৎপরতায় নেতৃত্ব দেওয়া বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, “আমরা লোকটিকে উদ্ধারের জন্য ভবন থেকে বাঁশ পর্যন্ত মই স্থাপনের চেষ্টা করেছিলাম।
“কিন্তু তার আগেই তিনি দু’হাত ছেড়ে দেন। মুহূর্তেই নিচে একতলা ভবনের ছাদে পড়ে তার মাথা ফেটে যায়।”
তাকে উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালে নিয়ে আাসার আগেই ওই লোকটির মৃত্যু হয়।
ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।