সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সোমবার ভিজিডি কর্মসূচিতে বিতরণ করা এসব চালের কোনো দানার রং লালচে, কোনোটি সবুজ, কোনোটি কালো বা নীলচে।
দরিদ্র গ্রহীতারা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ‘খাওয়ার অনুপযোগী’ এসব চালের মান নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।
মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ বলেন, “এবার ভিজিডির চালের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এত নিম্মমানের চাল কখনো দেখিনি।
“এ চাল বিতরণের কারণে উপকারভোগীরা আমাদের গাল-মন্দ করছেন। বিষয়টি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে বাধ্য হয়ে চাল বিতরণ করি।”
একই ইউনিয়নের সুবিধাভোগী নবান আলী (৪৮) প্রশ্ন করেন, “আমরা গরিব মানুষ। তাই বলে কি আমাদের জন্য পচা চাল দেওয়া হল?”
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলম বলেন, “চালের রং লালচে হওয়ার কারণ বেশি হিট পেয়েছে। তবে চালের গুণগতমান কমেনি। সম্পূর্ণভাবে খাওয়ার উপযোগী। এতে কোনো সমস্যা নেই।”
তবে জনপ্রতিনিধিরা বলছেন উল্টো কথা। মুক্তিনগর ইউপি সদস্য পান্না শেখ বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। জনগণ মনে করে এ চাল আমরাই দিই।”
সাঘাটা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, সাঘাটা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভিজিডি’র উপকারভোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮০ জন। এরমধ্যে উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নে ভিজিডির উপকারভোগী ২০৩ জন।
গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিজিডির এ চাল বিতরণ করা হয়। তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি উপকারভোগী ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।