বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “বৃষ্টি না হওয়ায় এবং অতিরিক্ত তাপে চা গাছে নতুন পাতা আসছে না। একই কারণে দেখা দিচ্ছে লাল মাকড়সাসহ বিভিন্ন পোকার উপদ্রব। এতে চা শিল্প ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।”
এর আগে খরায় কোথাও কোথাও ধান এবং আমেও এই বিপদ দেখা দেয়।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা চৌধুরী বলেন, “এপ্রিলে বৃষ্টি হয়নি। উপরন্তু খরা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, যা চায়ের জন্য খুবই ক্ষকিকর।”
কৃত্রিম উপায়ে পানি দেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয় নয় বলে তারা জানান।
শ্রীমঙ্গলের বাসন্তি গোয়ালা নামে একজন চা শ্রমিক বলেন, “বেশি রোদের কারণে গাছের পাতা বাড়ছে না। নতুন পাতা আসছে না। পাতা খুবই কম তুলতে পারছি। এতে আমাদেরও লোকসান মালিকেরও লোকসান।”
দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য সেচের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক রফিকুল হক বাবলু জানিয়েছেন।
চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, মালিকেরা সেচ দিয়ে গাছ বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।