সালথা তাণ্ডব: পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ‘গুজব ছড়িয়ে’ হামলা চালানোর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে থাকা এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2021, 09:09 AM
Updated : 1 May 2021, 09:09 AM

এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তবে পুলিশের দাবি তিনি ‘স্ট্রোক করে’ মারা গেছেন।

জেলার পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, “শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবুল হোসেন মোল্লা (৪৮) নামে এই আসামি বাথরুমে পড়ে যান।

“ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্টোক করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবে। তারপর বলতে পারব কেন, কী কারণে তার মৃত্যু হল।”

আবুল হোসেন সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের ইমান উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তার মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, “আমার বাবা নির্দোষ ছিল। গ্রামে কোনো রাজনীতি করত না। তাকে অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছিল। এখন তাকে রিমান্ডে নিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি সঠিক তদন্ত এবং ন্যায় বিচার চাই।”

চিকিৎসক তারা মৃত্যুর কারণ বলতে পারেনি।

ফরিদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তোফাজেল হোসাইন বলেন, শনিবার সকাল ৬টায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা আবুল হোসেনকে নিয়ে আসেন।

“আমি তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।”

গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের লোকজন রামকান্তপুর এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সালথা থানা, উপজেলা পরিষদ ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। গুজব ছড়িয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয় বলে প্রশাসন ও স্থানীয়দের ভাষ্য।

এ ঘটনায় ৬১ জনকে গ্রেপ্তার এবং পাঁচ মামলায় ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন