হেফাজত তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শনে সিআইডির ডিআইজি

হেফাজত তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন সিআইডির ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2021, 08:29 AM
Updated : 1 May 2021, 08:29 AM

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যারা তাণ্ডবের ইন্ধনদাতা-পরিকল্পনাকারী তারা স্পটে থাকুক বা না থাকুক, তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।”

বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক ও মাদ্রাসা ছাত্ররা। তাদের তাণ্ডবে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও জেলা গণগ্রন্থাগারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়।

এসব ঘটনায় দায়ের করা ৫৫টি মামলার মধ্যে নয়টির তদন্ত করছে সিআইডি। এছাড়া ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা সদরে মাদ্রাসাছাত্রদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে পাঁচটি তদন্তও সিআইডি পেয়েছে।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, “কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরনের আচরণ করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনতাবিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্যবিরোধী কাজ। বাংলাদেশকে যেন পিছিয়ে দেওয়া যায়, এটি সে ধরনের স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কাজ বলে আমি মনে করি।

“যারা এ ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা, যারা পরিকল্পনাকারী—তারা ঘটনাস্থলে থাক বা না থাক, অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। আইনের কিছু প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তারা আইনের আওতায় আসবে।”

তিনি বলেন, জেলা পুলিশ, সিআইডি এবং পিবিআই সম্মিলিতভাবে মামলাগুলো তদন্ত করছে।

“আমরা সবাই সমন্বয়রের মাধ্যমে তদন্ত করছি। ইতোমধ্যে মামলাগুলো তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি। ভিডিও ফুটেজ থেকে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে অনেককেই শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো মামলাই ঝুলে থাকবে না। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সব মামলা নিষ্পত্তির দিকে যাব।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া  সিআইডি পুলিশের সুপার মো. শাহরিয়ার রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান তার সঙ্গে ছিলেন।