দৈনিক অনির্বাণের ব্যবস্থাপক আবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা নগরীর নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই সাংবাদিক ৮০ বছর বয়সে মারা যান।
আলী আহমেদ খুলনার স্থানীয় দৈনিক অনির্বাণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এছাড়াও তিনি সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, খুলনার মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ও আহছান উল্লাহ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন।
তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আলী আহমেদের জামাতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রয়াত এই সাংবাদিকের জানাজা বৃহস্পতিবার তারাবির নামাজের পর নগরীর সার ইকবাল রোডের মতি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে টুটপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার মুরারীকাটি গ্রামে ১৯৪৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আলী আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও সংস্কৃত বিষয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে দৈনিক পূর্বদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৭২ সালে খুলনার সাপ্তাহিক জন্মভূমির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে পূর্বাঞ্চল দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭২ থেকে ৭৮ সাল সময়ে তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯১ থেকে ৯২ সালে সভাপতির দায়িত্ব পারন করেন। এছাগা তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালক পদেও ছিলেন। বাংলাদেশ এডিটরস কাউন্সিলের সহসভাপতি নির্বাচিত হন ১৯৮৮ ও ৮৯ সালে।
আলী আহমেদ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর বাকশালে যোগ দেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়নে সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আলী আহমেদ ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এম এম সিটি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মুরারীকাটি ইউনাইটেড হাইস্কুল ও খুলনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।