শনিবার হাসপাতালটির কিডনি ডায়ালাইসিস করা নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, পানির পাম্প নষ্ট হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ডায়ালাইসিস। এতে বিপাকে পড়েছেন কিডনি রোগীরা।
খুলনায় সরকারি কিডনি ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা রয়েছে এই শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে।
হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ইনামুল কবির বলেন, ডায়ালাইসিস যন্ত্র ঠিক আছে। তবে পানির প্ল্যান্টের মোটর নষ্ট হয়ে গেছে। ট্যাংকে যে পানি ছিল তা দিয়ে বৃহস্পতিবার বাকি রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হয়। ওইদিন থেকেই মিস্ত্রিরা মোটরটি ঠিক করার জন্য কাজ করছেন। মোটর ঠিক হলেই ডায়ালাইসিস শুরু করা যাবে।
তিনি জানান, এ হাসপাতালে ৩০টি ডায়ালাইসিস যন্ত্র আছে। বেশি সংখ্যক রোগীর চাপ সামলাতে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই যন্ত্রগুলো সচল রাখতে হয়। এতে যন্ত্রের ওপর বেশি চাপ পড়ে। যে কারণে মাঝে মাঝে যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলেন, ডায়ালাইসিসের সঙ্গে অনেকগুলো যন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কোনো একটি যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেলে পুরো প্রক্রিয়াটিই বন্ধ হয়ে যায়।
পানির পাম্প নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দূরদূরান্ত থেকে ডায়ালাইসিস করতে কিডনি রোগীরা বলেন তারা।
এর আগেও গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টটি নষ্ট থাকায় এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল ডায়ালাইসিস।
রোগীরা জানান, খুলনায় তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে খরচ হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। অন্যদিকে আবু নাসের হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে খরচ হয় মাত্র ৪১৫ টাকা। এ কারণে রোগীদের সর্বশেষ আশ্রয় এটি।
এ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ জন রোগীর কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয়। খুলনা জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা ডায়ালাইসিস করতে সেখানে যান বলে জানা গেছে।