মামুনুল কাণ্ডে ভাংচুর: হেফাজত নেতার জবানবন্দি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার পর হামলা-ভাঙচুর এবং মহাসড়কে নাশকতায় সম্পৃক্ত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের এক নেতা।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 04:38 PM
Updated : 22 April 2021, 04:51 PM

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক কাউছার আলম এর আদালেত এ জবানবন্দি দেন ইকবাল হোসেন (৫০)।

ইকবাল হেফাজত ইসলাম সোনারগাঁ থানা শাখা কমিটির সহ-সভাপতি এবং খেলাফত মজলিসের সভাপতি। পুলিশের দুইটি মামলায় প্রধান আসামি তিনি।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সোনারগাঁয়ে র‌্যায়েল রিসোর্ট ভাঙচুর, সহিংসতার ঘটনায় নাশকতা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের পুলিশের করা দুইটি মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ইকবাল হোসেন।

“জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্তার দায় স্বীকার করেছেন।”

এর আগে ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার জুরাইন রেলগেট বাজার মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

১২ এপ্রিল দুপুরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে আদালত থেকে ইকবালকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে রিসোর্টটিতে হামলায় চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান হেফাজত কর্মীরা।

রিসোর্ট ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বাজারের দোকানপাট, স্থানীয় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও তাণ্ডব চালান তারা। গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ওই ঘটনায় হেফাজত, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে সাতটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।