নওয়াপাড়া নৌবন্দরের ‘কার্যক্রম ব্যাহত নাব্য সংকটে’

ভৈরব নদে নাব্য সংকটে যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 09:32 AM
Updated : 22 April 2021, 09:32 AM

তারা বলছেন, বিভিন্ন স্থানে পলি জমে চর পড়ে এবং দখলের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

নওয়াপাড়া নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কার্গো জাহাজ এমভি হাজেরা ৪-এর মাস্টার মোহাম্মদ হাসান জানান, নওয়াপাড়ার ভৈরব সেতু থেকে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই নটিক্যাল নদের তীরে অধিকাংশ স্থানেই চর জেগেছে। এছাড়া খুলনা নিউজপ্রিন্ট কারখানা থেকে নওয়াপাড়া চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ নটিক্যালে কিছু কিছু স্থানে ছোট চর দেখা দিয়েছে।

“এই ১৫ নটিক্যাল দ্রুত খনন না করা হলে মালবাহী কার্গো জাহাজ চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। নওয়াপাড়া নৌবন্দর অচল হয়ে যেতে পারে।”

তিনি বলেন, “এখন নদীতে জোয়ারের সময়ও মালবাহী কার্গো জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হয়। নওয়াপাড়া নৌবন্দরে প্রতিদিন মালবাহী কার্গো জাহাজ পণ্য খালাস করতে এসে জোয়ারের অপেক্ষায় বসে থাকে। ফলে আমদানিকারকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”

নওয়াপাড়া হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফাল্গুন মণ্ডল বলেন, “অভয়নগরসহ আশপাশের প্রায় ২০ হাজার নারী-পুরুষ নওয়াপাড়া নৌবন্দরে কাজ করেন। বন্দর বন্ধ হলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বে।

“আমরা নওয়াপাড়া বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন রমজান মাসের মধ্যেই খননকাজ শুরু করবেন।”

নওয়াপাড়া নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক উদ্দিন বলেন, “ভৈরব নদের বিভিন্ন স্থানে নাব্য কমে গেছে; পলি জমে চর জেগেছে। ওই স্থানগুলো চিহ্নিত করে গভীরভাবে খনন করার জন্য নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালকের দপ্তরে কাগজপত্র পাঠিয়েছি।

“এছাড়া অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।”