বাংলাদেশও যাতে টিকা পায়, ‘কাজ করছে’ ভারত: দোরাইস্বামী

করোনাভাইরাস মহামারীতে ভারতের অবস্থাও ‘দিন দিন কঠিন হচ্ছে’ জানিয়ে দেশটির হাই-কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশও যাতে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, সেজন্য তার দেশ কাজ করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 08:15 AM
Updated : 22 April 2021, 08:23 AM

চার দিনের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে টিকার বিষয়ে কথা বলেন ভারতীয় হাই কমিশনার।

তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে সঙ্কট রয়েছে। সরবাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। সবাই মিলে টিকার প্রাপ্যতা ও সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছি।”

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড।

এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে বাংলাদেশ সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সে অনুযায়ী মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে বাংলাদেশে দেড় কোটি ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠাতে পেরেছে।

এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে এসেছে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা। ভারত অভ্যন্তরীণ চাহিদা আগে মেটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মার্চ থেকে টিকা রপ্তানি আটকে আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৭৫ লাখের বেশি ডোজ নাগরিকদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সময়মত টিকার নতুন চালান না পেলে টিকাদান কর্মসূচি সমস্যায় পড়বে বলে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীও এর আগে মন্তব্য করেছেন।

এ বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, “বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যতগুলো দেশকে টিকা দিয়েছি, তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।”

কিন্তু এখন সংক্রমণ পরিস্থিতিও যে নাজুক হয়ে উঠেছে, সে কথা তুলে ধরে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, “করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউটা অনেক বড়। ভারতের অবস্থাও দিন দিন কঠিন হচ্ছে। আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি। সবাই মিলে এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারব।”

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত যে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দেয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে দোরাইস্বামী বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে যে আমরা যুক্ত, এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউরে মধ্যেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন।”

আখাউড়ার ইউএনও নূরে আলম এবং আখাউড়া থানা ওসি মিজানুর রহমান স্থলবন্দরে দোরাইস্বামীর সঙ্গে ছিলেন।