তীব্র খরায় রোগবালাই বেড়ে দুশ্চিন্তায় আম চাষিরা

নওগাঁ জেলা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় তীব্র খরায় আমের রোগবালাই বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

নওগাঁ প্রতিনিধিও বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 05:27 AM
Updated : 22 April 2021, 05:27 AM

তারা জানিয়েছেন তাদের ‘স্বপ্নে চিড় ধরাচ্ছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ’ ও রোগবালাই।  প্রতিষেধক দিয়েও সুফল না পাওয়ায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চাষি আজিজুল হক বলেন, “অতিরিক্ত খরায় আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমণ খুব বেশি। ১৫ দিন পরপর ওষুধ স্প্রে করছি। তবু এসব পোকা দমন হচ্ছে না। একমাত্র বৃষ্টি হলে আম রক্ষা পেতে পারে।”

অনাবৃষ্টিই রোগবালাইয়ের কারণ বলে মনে করেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার আম চাষি মাহফুজুর রহমান।

তিনি বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষেধক ব্যবহার করেও সুফল মিলছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের ফলন কম হবে বলে মনে হচ্ছে।

নওগাঁর পোরশা উপজেলার আমচাষি আমির হোসেন বাবু বলেন, শিগগির বৃষ্টি না হলে এবার আম চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।

তবে এখনও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব পড়ার মত লক্ষণ দেখছে না নওগাঁ কৃষি বিভাগ।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামশুল ওয়াদুদ বলেন, জেলার সাপাহার উপজেলাসহ কিছু এলাকায় আম ঝরে পড়লেও এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব পড়বে না।

“যেসব আমে মরিচাসহ অন্যান্য রোগবালাই, পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে, কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক কীটনাশক ও প্রতিষেধক ব্যবহার করলে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বৃষ্টি হলে আম ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।”

যশোরের শার্শা উপজেলায় রোগবালাই অপেক্ষা ঝরে পড়ার বিপদ বেশি বলে কৃষি কর্মকর্তা ও চাষিরা জানিয়েছেন।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, ঝরে পড়া বন্ধ করা ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় চাষিরা বিরামহীন কাজ করছেন।

উপজেলার জামতলার আমচাষি গোলাম আজম বলেন, “এ বছর প্রচুর গুটি আসায় বাম্পার ফলনের আশা করেছিলাম। কিন্তু স্বপ্নে চিড় ধরাচ্ছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ।

“বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে পড়ছে। পানি স্প্রে করেও ঠেকানো যাচ্ছে না। উৎপাদন এবার অর্ধেকে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।”

নাভারনের রবিউল ইসলাম, বড়বাড়িয়া গ্রামের শাহাজান আলী, সামটা গ্রামের লাল্টু গাজিসহ আরও অনেকে একই দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন।

পানি ছিটিয়ে এবং বালাইনাশক দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তাতে তেমন কাজ হচ্ছে না বলে সবার দাবি।

আরও পড়ুন-