তারা জানিয়েছেন তাদের ‘স্বপ্নে চিড় ধরাচ্ছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ’ ও রোগবালাই। প্রতিষেধক দিয়েও সুফল না পাওয়ায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চাষি আজিজুল হক বলেন, “অতিরিক্ত খরায় আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমণ খুব বেশি। ১৫ দিন পরপর ওষুধ স্প্রে করছি। তবু এসব পোকা দমন হচ্ছে না। একমাত্র বৃষ্টি হলে আম রক্ষা পেতে পারে।”
তিনি বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষেধক ব্যবহার করেও সুফল মিলছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের ফলন কম হবে বলে মনে হচ্ছে।
তবে এখনও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব পড়ার মত লক্ষণ দেখছে না নওগাঁ কৃষি বিভাগ।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামশুল ওয়াদুদ বলেন, জেলার সাপাহার উপজেলাসহ কিছু এলাকায় আম ঝরে পড়লেও এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব পড়বে না।
যশোরের শার্শা উপজেলায় রোগবালাই অপেক্ষা ঝরে পড়ার বিপদ বেশি বলে কৃষি কর্মকর্তা ও চাষিরা জানিয়েছেন।
উপজেলার জামতলার আমচাষি গোলাম আজম বলেন, “এ বছর প্রচুর গুটি আসায় বাম্পার ফলনের আশা করেছিলাম। কিন্তু স্বপ্নে চিড় ধরাচ্ছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ।
“বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে পড়ছে। পানি স্প্রে করেও ঠেকানো যাচ্ছে না। উৎপাদন এবার অর্ধেকে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।”
পানি ছিটিয়ে এবং বালাইনাশক দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তাতে তেমন কাজ হচ্ছে না বলে সবার দাবি।
আরও পড়ুন-