মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করার পর রাতেই কালিগঞ্জ উপজেলার পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা থেকে এই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই মাদ্রাসা শিক্ষক (৪২) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় শিক্ষকতা করেন।
কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন বলেন, এই শিক্ষক শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর মহিলা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর সূত্র ধরে শনিবার বিকালে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কালিগঞ্জের পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় নিয়ে আসেন।
“এরপর রাতে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ১৮ এপ্রিল সকালে মেয়েটিকে মোটরসাইকেল যোগে কালিগঞ্জের গড়েরহাটে নামিয়ে দিয়ে আসেন।”
ওসি আরও বলেন, পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।