বুধবার বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, “নূর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও সরকার সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করছেন; ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটার উপক্রম হচ্ছে। নুরুলের বক্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছেন।”
মামলার সঙ্গে নূরের এসব বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ ও কয়েকটি স্ক্রিনশটও পেনড্রাইভে করে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বলেন, মামলার সঙ্গে বাদী যেসব আলামত জমা দিয়েছেন সেসব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সিআইডির বিশেষজ্ঞরা জানাবেন এসব বক্তব্য ভিপি নূরের কিনা।
“যদি এসব বক্তব্য নূরের হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।”
এর আগে মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে এবং নূরের বক্তব্য তাদের মধ্যে কী ধরনের বিদ্বেষমূলক মনোভাব তৈরি করেছে তা তাদের কাছ থেকে জানা হবে, বলেন ওসি।
ওসি আরও জানান, মামলার নথিপত্র দ্রুত ঢাকায় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। পাশাপাশি ভিপি নূর যে থানা এলাকায় থাকেন তাকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়ে সেই থানায় বার্তা পাঠানো হবে। এছাড়া তারা নিজেরাও দ্রুত সময়ের মধ্যে নূরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করবেন।
গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে ফেইসবুক লাইভে এসে নুরুল হক নূর বলেন, “কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যারা এই আওয়ামী লীগ করে তারা চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চিটার-বাটপার এই ধরনের মুসলমান।শুক্রবার একদিন নামাজ পড়তে যাবে, আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কোন খবর নাই।”
একই অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকায় দুটি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একটি করে মামলা হয়েছে।