মাশরুমে ভাগ্য বদলের আশায় কুড়িগ্রামের আমিনুল

করোনাভাইরাস মহামারীতে চাকরি হারানোর পর মাশরুম চাষ করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখছেন কুড়িগ্রামের তরুণ আমিনুল ইসলাম মিলন।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিআহসান হাবিব নিলু, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2021, 06:18 AM
Updated : 21 April 2021, 06:18 AM

জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সড়ককাটা গ্রামের বাড়িতে আমিনুল তার খামার গড়ে তুলেছেন।

আমিনুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাগুড়া সদর উপজেলার বড়খড়িগ্রামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্রিম মাশরুম সেন্টার থেকে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এই উৎপাদন শুরু করেন।

“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরুম চাষ বিষয়ে জানতে পেরে গত নভেম্বর প্রশিক্ষণ নিই। ডিসেম্বরে প্রায় সোয়া লাখ টাকা খরচ করে অবকাঠামো তৈরি করে উৎপাদনে নামি। ফেব্রুয়ারিতে মাশরুমের প্রথম ফলন ওঠে। এখন উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। আশা করছি ভাল হবে।”

আমিনুল বলেন, স্থানীয়রা মাশরুম সম্পর্কে অবগত না। তবে এখন সবাই জানতে পারছে। প্রতিবেশীসহ বন্ধুরা তার মাশরুমের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে স্থানীয়ভাবে বেশ বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ঢাকা, সিলেট, বগুড়া, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা এসে মাশরুম নিয়ে যাচ্ছেন।

আমিনুলের সাফল্য দেখে অনেকেই মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুল ইসলাম।

মাশরুমের বহুবিধ খাদ্যগুণের কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মীর্জা নাসির উদ্দিন বলেন, মাশরুমে রয়েছে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল। মাশরুম শরীরের কোলেস্টেরল কমায়, হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপ নিরাময় করে। এছাড়া শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত  কার্যকর এই মাশরুম। মাশরুম খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করতে সহায়ক। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাশরুম আদর্শ খাবার।

তিনি বলেন, সহজে বাজারজাত করা গেলে মাশরুমের চাষ বৃদ্ধি পাবে। তাতে কর্মসংস্থানও বাড়বে অপুষ্টির হারও কমবে।