‘যুবলীগ নেতার দখল’ থেকে বনভূমি উদ্ধার

গাজীপুরে এক একর বনভূমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ, যা এক যুবলীগ নেতার দখল করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2021, 05:28 PM
Updated : 20 April 2021, 05:28 PM

মঙ্গলবার এই জমিতে গড়ে তোলা মাছের খামারে মাটি ভরাট করে গাছের চারা রোপণ করেছে বন বিভাগ।

তবে এই যুবলীগ নেতা বনভূমি দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বিটে ৪ নম্বর বারুইপাড়া মৌজার সিংড়াতলী এলাকায় বনভূমিতে মাটি খনন করে মাছের খামার নির্মাণ কাজ শুরু করেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাইয়ুম সরকার ও তার লোকজন। প্রাথমিক পর্যায়ে সীমানা নির্ধারণ ব্যতীত পুকুর খনন কাজে বাধা দেন ভবানীপুর বিট কর্মকর্তা। কিন্তু এতে কর্ণপাত না করে তারা খামার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান।

তিনি জানান, ভবানীপুর বিটে স্বল্প জনবল এবং বন দখলকারীদের উশৃঙ্খল আচরণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশ এবং উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানান।

সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন, “কাইয়ুম সরকার বনে ছয়টি পুকুর খনন করেছেন। সম্প্রতি আরও নতুন তিনটি পুকুর খনন কাজ শুরু করেন। অভিযানের আগে সার্ভেয়ার দিয়ে তার দখলে থাকা এক একর বনভূমি চিহ্নিত করা হয়। পরে উচ্ছেদের প্রথম পর্যায়ে ৫০ শতাংশ বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ রোপণ করা হয়।”

উদ্ধার বনভূমির বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত এক কোটি টাকা বলে জানান তিনি।

ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গাজীপুর ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজল তালুকদার ও সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার ঘোষ।

অন্যদের মধ্যে ঢাকা বন বিভাগের গাজীপুর শ্রীপুর সদর বিট কর্মকর্তা সজীব কুমার মজুমদার, ভাওয়াল ও জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের কর্মকর্তা এবং স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানে জয়দেবপুর থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করে।

এই ব্যাপারে কাইয়ুম সরকার বনের জমি দখলের কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বন বিভাগের এক শতাংশ জমিও দখল করিনি। বারুইপাড়া মৌজায় আমার ১৫ বিঘার মতো জমি আছে। আমার জমির সঙ্গে বন বিভাগের জমি রয়েছে। আমার জমির সীমানা নির্ধারনের জন্য দুই বছর ধরে ঘুরছি। বন বিভাগ জমিটি সীমানা নির্ধারণ করে তাদের কাছ থেকে অবমুক্ত করে দিচ্ছে না।”

গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন, কাইয়ুম সরকার মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তবে তার বনভূমি দখলের ব্যাপারে কোনো তথ্য আমার জানা নাই।”