মঙ্গলবার এই জমিতে গড়ে তোলা মাছের খামারে মাটি ভরাট করে গাছের চারা রোপণ করেছে বন বিভাগ।
তবে এই যুবলীগ নেতা বনভূমি দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বিটে ৪ নম্বর বারুইপাড়া মৌজার সিংড়াতলী এলাকায় বনভূমিতে মাটি খনন করে মাছের খামার নির্মাণ কাজ শুরু করেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাইয়ুম সরকার ও তার লোকজন। প্রাথমিক পর্যায়ে সীমানা নির্ধারণ ব্যতীত পুকুর খনন কাজে বাধা দেন ভবানীপুর বিট কর্মকর্তা। কিন্তু এতে কর্ণপাত না করে তারা খামার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান।
এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানান।
সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন, “কাইয়ুম সরকার বনে ছয়টি পুকুর খনন করেছেন। সম্প্রতি আরও নতুন তিনটি পুকুর খনন কাজ শুরু করেন। অভিযানের আগে সার্ভেয়ার দিয়ে তার দখলে থাকা এক একর বনভূমি চিহ্নিত করা হয়। পরে উচ্ছেদের প্রথম পর্যায়ে ৫০ শতাংশ বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ রোপণ করা হয়।”
ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গাজীপুর ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজল তালুকদার ও সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার ঘোষ।
অন্যদের মধ্যে ঢাকা বন বিভাগের গাজীপুর শ্রীপুর সদর বিট কর্মকর্তা সজীব কুমার মজুমদার, ভাওয়াল ও জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের কর্মকর্তা এবং স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে জয়দেবপুর থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করে।
গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন, কাইয়ুম সরকার মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তবে তার বনভূমি দখলের ব্যাপারে কোনো তথ্য আমার জানা নাই।”