আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ‘আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে’ এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ; এই সময় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2021, 04:28 PM
Updated : 21 April 2021, 10:08 AM

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবরের নেতৃত্বে সোমবার গোপালপুর গ্রামে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হলেও তিনি অস্বীকার করেছেন।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার ওই আওয়ামী লীগ নেতা ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সৈয়দ মামুন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গ্রাম্য দলাদলিকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফির সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবরের রিরোধ চলে আসছিল।

মামলায় বলা হয়, এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় সাইফুল ইসলাম বাবরের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লোক দেশি অস্ত্র নিয়ে শফির বসতবাড়িতে গিয়ে তার ভাই মো. রবিউল ইসলামের নাম ধরে অশ্লীল গালাগাল করতে থাকেন।

এই সময় রবিউল ঘর থেকে বের হয়ে গালাগালের কারণ জানতে চাইলে তারা রবিউলের ওপর হামলা করে মাথার ডান ও বামপাশে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

রবিউলের চিৎকার শুনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফি দৌড়ে গেলে তাকেও মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে বলে মামলার অভিযোগে আছে।

এছাড়া শফির চাচাত ভাইয়ের ছেলে সুমন খান (২৫) ও শফির ভাইয়ের স্ত্রী রুমা বেগমকেও মারপিট করা হয় বলে শফি মামলায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে হামলাকারীরা শফির বসতঘরে ঢুকে বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।

প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন; তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সাইফুল ইসলাম বাবর ও তার লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। হঠাৎ করেই অতর্কিত আমার বাড়িতে সাইফুল ইসলাম বাবর ও তার লোকজন হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ পরিবারের সদস্যরা আহত হয়েছেন।

“হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।”

এই বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবর বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাড়ি ছিলাম। পরে জেনেছি তারাও আমাদের লোকজনকে মারপিট করেছে। আমাদের লোকজনও তাদের মেরেছে।”

আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।